জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৪ আগষ্ট বিকেল ৫ টায় জাতির জনকের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত জাতীয় শোক সভা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা শেখ হাসিনাকে ভয় পায় বলেই তারা প্রতিনিয়ত এ ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরা বেঁচে থাকতে কোন দিনই এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না। শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, খন্দকার মোস্তাকদের স্থান এ দেশে হবে না। পৃথিবীর কোন দেশের রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করে তার ইতিহাস পাল্টানোর নজির নেই। একমাত্র তা বাংলাদেশেই হয়েছে। খালেদা জিয়ার বরপুত্র তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ পরিচালনা ও হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায় ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু, আল্লাহর রহমত ও এদেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসার কারণে তা সম্ভব হয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকার মত দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দীন হিরু ও সাংগঠনিক সম্পাদ মুজিবুর রহমান মুজিবের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মফিজুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পিপি এডভোকেট এ.কে.এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য চেমন আরা তৈয়ব, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বনফুল গ্রুপের চেয়ারম্যান এম.এ. মোতালেব সিআইপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল হক ভেট্টু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হামিদ বেঙ্গল, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাশেম মিয়া, ফরিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান মিন্টু, মুজিবুর রহমান, এড. মো. মিয়া ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. আবদুল কাইয়ুম, দপ্তর সম্পাদক তৈয়বুল হক বেদার, সহ-দপ্তর সম্পাদক এম.এস মামুন, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিয়া মো. শাহজাহান, স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক নুরুল কবির সলিল, শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দীন, যুবলীগ নেতা আবছার উদ্দীন, মো. ইউছুপ কবির, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রিদওয়ানুল হক সুজন ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা রিহান পারভেজ চৌধুরী।
সভায় প্রধান বক্তা মফিজুর রহমান বলেন, রাজাকারদের ঠাঁই এ বাংলাদেশে হবে না। ইসলামের নাম দিয়ে এ দেশে আর কোন সন্ত্রাস চালাতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কৌশলে জামায়াত-শিবিরের এজেন্ট ঢুকে পড়েছে। এদের কাছ থেকে আপনাদের সাবধান থাকতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে আর মিথ্যা মামলা সহ্য করা হবে না। যদি কোন নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয় তাহলে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা টি.আর কাবিখা এবং এমপি-মন্ত্রী হবার জন্য রাজনীতি করি না। বেশী বাড়াবাড়ি করলে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখোশ উম্মোচন করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।